বড়দিন মানেই কেক, সে নাহুমই হোক বা ষাটোর্ধ জেঠিমার কাজু-কিশমিশ আর বিনা ওয়াইনের কেকযজ্ঞ। কিংবা ইউটিউব দেখে ষোড়শী শাল্মলীর প্রথম প্রচেষ্টা। আর অয়নকে লুকিয়ে খাওয়ানোর দু-টুকরো।
মডিউলার কিচেনে সুদৃশ্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন আজকাল। কিন্তু
প্রেশার কুকারের ঢিমে আঁচে কেকের দুধারে কর্কশ এক ভালবাসা তৈরি হত সেইদিন। সেই তিতকুটে খয়েরি মেঘের প্রাচীরের আড়ালে তুলতুলে মোহ।
“বাবাকে বলিস চেরি আর ভ্যানিলা এসেন্স যেন না ভুলে যায়”। আর তারপর রোজকার ময়দা-মাখন-দুধ-ডিমের একদিনের বিলিতি অভিসার। ধুলোমলিন তুলোর আবডালে মুখ টিপে হাসে প্লাস্টিক সান্তাবুড়ো।
বৈকালিক দুধ চা বা সান্ধ্য পুডিং, মাঝরাতের ওম পেরিয়ে লুকিয়ে খাওয়া এক টুকরো, বা পরদিন প্রাতরাশে কমলালেবুর বিকল্প – কিভাবে যেন সেই মায়া মায়া কেকটা শেষ হয়ে যায়।
পরে থাকে অচেনা শহরের সুপারমার্কেট, ৪০ টাকার মিনি প্লাম কেক আর একাকীত্ব।