নাম দিয়েছিলে একটা।
গভীর কোন আবেগের নিষ্পাপ ছোট্ট আত্মপ্রকাশ।
তখনও বৃষ্টি ঝরা পাতাদের কলরব থামেনি।
তখনও শ্যাওলাধরা হৃদয়ে গোপন হাতছানির অনুরণন।
বরফগলা জলকণাগুলো অনধিকার স্বপ্ন হয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল তোমার দশটা–পাঁচটার রোজনামচাতে।
তার একটা নগ্ন প্রতিচ্ছবি দেখেছিলুম আমার আয়নাতে।
অজানা রোমাঞ্চ, অচেনা পদশব্দের উন্মুক্ত স্পন্দন তখন আমার শিরায় শিরায়।
তবুও সব উপেক্ষা করেছিলুম নির্দ্বিধায়ে,
একটা স্মৃতির প্রেতাত্মার কালো ছায়া দেখে;
রাতের বালিশে মুখ গুঁজে ভেবেছিলুম পুরনো অ্যালবামটা আঁকড়ে ধরেই লিখবো বাকিটা।
আজ এ কোন মেঘভাঙা জলোচ্ছ্বাস?
ভেসে গেল হঠাৎ সব কঠিন মরণপণের বিস্তৃত কাঠামোগুলো।
ছিঁড়ে পড়ল সব আলোছায়া পর্দারা।
আজ একমুহূর্তের জন্য আমি বাঁচলাম।
বাঁচলাম শুধু সেইক্ষণকে আপন করে।
তোমার বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধে ডুবে।