ভুল রাস্তার মোড়ে


Leave a comment

নাম দিয়েছিলে একটা।

গভীর কোন আবেগের নিষ্পাপ ছোট্ট আত্মপ্রকাশ।

তখনও বৃষ্টি ঝরা পাতাদের কলরব থামেনি।

তখনও শ্যাওলাধরা হৃদয়ে গোপন হাতছানির অনুরণন।

 

বরফগলা জলকণাগুলো অনধিকার স্বপ্ন হয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল তোমার দশটা–পাঁচটার রোজনামচাতে।

তার একটা নগ্ন প্রতিচ্ছবি দেখেছিলুম আমার আয়নাতে।

অজানা রোমাঞ্চ, অচেনা পদশব্দের উন্মুক্ত স্পন্দন তখন আমার শিরায় শিরায়।

তবুও সব উপেক্ষা করেছিলুম নির্দ্বিধায়ে,

একটা স্মৃতির প্রেতাত্মার কালো ছায়া দেখে;

রাতের বালিশে মুখ গুঁজে ভেবেছিলুম পুরনো অ্যালবামটা আঁকড়ে ধরেই লিখবো বাকিটা।

 

আজ এ কোন মেঘভাঙা জলোচ্ছ্বাস?

ভেসে গেল হঠাৎ সব কঠিন মরণপণের বিস্তৃত কাঠামোগুলো।

ছিঁড়ে পড়ল  সব আলোছায়া পর্দারা।

 

আজ একমুহূর্তের জন্য আমি বাঁচলাম।

বাঁচলাম শুধু সেইক্ষণকে আপন করে।

তোমার বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধে ডুবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 


Leave a comment

 

এই অযান্ত্রিক সান্ধ্য রাজপথে ,

এই অকালবৃষ্টি-মাখা কালো বিমূর্তের আর্ত চিতকারে;

এই অশ্লীল নৈঃশব্দ্যের আনাচে কানাচে,

আমি তোমার হারিয়ে যাওয়াকে খুঁজছিলাম।

 

সেই এক উগ্র স্নিগ্ধতামাখা বিকেলে,

আমার আগুন রঙ্গা শাড়ি যেদিন আলগোছে আবিষ্ট করেছিল তোমার সত্তা কে,

সেদিনের সেই মহাপ্লাবনের স্রোতে,

হারিয়ে গেছে।

 

আমি ছিলাম বৃষ্টি বেলার কাগজের নৌকো,

তাইআরফিরেতাকাওনি,

আমাকে ভাসিয়েছিলে যখনআবেগের নগ্ন স্বপ্নিলতায়।

 

ভোরের উত্তাপহীন মেঠো পথের শিশির হয়ে বহু জন্ম পার করেছি।

তোমাকে ভুলেছি ।

কিন্তু তোমার হারিয়ে যাওয়াকে নয়।

 

তুমি বদলাওনি , একটুও।

আর তাই আমি বিভ্রান্তের মত আজ ও খুঁজছি,

সেই হারিয়ে যাওয়াটাকে।

 


Leave a comment

শেষ রাতের প্রহরী

কামরাঙা ভোরের গায়ে জল ছেটায় একটা অচেনা গন্ধ।

জল, জল, আরও জল;

“আজ আসুক বন্যা”—

রাতপ্রহরী অস্ফুটে বলে,

“মেখে নেব তোকে সারা গায়ে”

আরব্য রজনীর ব্যস্ত রাতপ্রহরীকে নিয়ে কবিতা লেখেনি কেউ।

কিন্তু বন্যা যে আজ তোমায় ভাসিয়ে নেবে রাতপ্রহরী !drowning-man

তোমার ঘুম পাবে;

মায়া-মায়া, আঠার মত ঘুম।

তুমি তলিয়ে যাবে,  বেনামী ডুবুরি পাঠাবে না কেউ।

তোমার সব রাত শেষ ।

কামরাঙা ভোরের গন্ধ আর পাবে না রাতপ্রহরীর ঠাণ্ডা নাকের নাড়ি।